হযরত শাহজালাল (রহ.) জীবনী(Hazrat Sahzalal(R.)Biograpy)


 

শাহজালাল (রহ.) মাজার


হযরত শাহজালাল (রহ.) আরব সম্রাজ্যের হিজাজ প্রদেশের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্হিত ইয়েমেনে ৬৭১ হিজরী (১২৭১ খ্রিষ্টাব্দে) জন্মগ্রহণ করেছেন।তার পিতার নাম মাহমুদ কোরায়শী (হিজরী ষষ্ঠ শতকের শেষাংশে মক্কার কোরায়েশ বংশের একটি শাখা মক্কা শহর হতে হেজাজ ভূমির দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তে ইয়েমেন প্রদেশে গিয়ে বসবাস করেন। ঐ শাখার মোহাম্মদ বা মাহমুদ শাহজালালের পিতা। মাহমুদের পিতা ছিলেন ইব্রাহিম অর্থাৎ শাহজালাল রহ. দাদা হলেন ইব্রাহিম) । হযরত শাহজালালের বাবা ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ যুদ্ধা এবং একজন খাটি ইমানদার ও ইসলামের সেবক। হযরত শাহজালাল রহ. মায়ের নাম সৈয়দা হাসেনাহ ফাতিমাহ,তিনি ছিলেন সৈয়দ বংশের মেয়ে অর্থাৎ কারবালা যুদ্ধে বেচে যাওয়া জয়নাল আবেদীনের বংশের মেয়ে।শাহজালাল রহ. জন্মের তিন মাস পর মৃত্যু বরন করেন তার মা। তার বাবা পরবর্তীতে আর বীয়ে করেননি।তার মায়ের মৃত্যুর কিছু দিন পর মৃত্যু বরন করেন তার বাবা। তার মায়ের মৃত্যুর কিছুদিন পর দেশের সীমান্তে বিধর্মী দের সঙ্গে মোসলমানদের যুদ্ধ শুরু হয় সে যুদ্ধে তার বাবার ডাক পড়ে।তখন সে চিন্তায় পড়ে যায় শিশুকে রেখে কীভাবে যাবে ,তার বাবার ঈমানী শক্তি ছিল অনেক তিনি শিশু শাহজালাল কে আল্লাহ ভরসায় রেখে যুদ্ধে গেলেন এবং সেই যুদ্ধ থেকে আর ফিরেন নি।


শাহজালালের বাবার মৃত্যুর পর শাহজালালের দায়িত্ব নেয় তার মামা সৈয়দ কবির আহমদ(তিনি একজন পীর ছিলেন,তার গুরু তার বাবা সৈয়দ শায়েখ আহমদ কবির সোহরাওয়ার্দি (রহ) ) ।কবির আহমদ আরবী ভাষায় কোরআন হাদিস শিক্ষা দেয়া সহ ইসলাম ধর্মের প্রাথমিক বিষয়ে (নামাজ, রোজায়) অভ্যস্ততার গুরুত্ব প্রদান করেন। পরবর্তিতে আহমদ কবীর শাহ জালালকে ইয়েমেন থেকে মক্কায় নিয়ে যান। মক্কা শহরে আহমদ কবীরের একটি আস্তানা (হোজরা) ছিল। সেখানে অন্যান্য শিষ্যদের সাথে শাহ জালালকেও উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলতে। শাহ জালালকে সুফি মতবাদে দীক্ষিত করাই আহমদ কবিরের মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে জানা যায়; যে কারণে আহমদ কবিরের শাহ জালালকে নিয়ে মক্কা আসা। মক্কা শহরে সোহরাওয়ার্দি তরিকার প্রবর্তক সিহাবুদ্দীনের প্রতিষ্ঠিত খানকায় (মরমী স্কুল) তত্কালে আহমদ কবির ছিলেন প্রধান তত্ত্বাবধায়ক। আহমদ কবির শাহ জালালকে ইসলামের শরীয়ত ও মারিফত উভয় ধারায় শিক্ষাদানে দীক্ষিত করেন। শাহজালাল (রহ) এর উদ্ধোতন মুসলিম মনীষীদের তালিকা নিম্নরূপ- 

• হযরত মোহাম্মদ (সঃ) 
• হযরত আলী
 • শেখ হাসান বসরী
 • শেখ হাবিব আজমী 
• শেখ দাউদ তাঈ
 • শেখ মারুফ কারখী
 • শেখ ছিররিউ সাকতী 
• শেখ মমশাদ দিনাওয়ারী 
• শেখ আহমদ আসওয়াদ দিন্নুরী
 • শেখ আমুবিয়া 
• শেখ আজি উদ্দীন সোহরাওয়ার্দী
 • শেখ আবু নাজিব সোহরাওয়ার্দী 
• শেখ শিহাব উদ্দীন
 • শেখ বাহাউদ্দীন জাকারিয়া
 • সৈয়দ জালাল সুরুখ বোখারী
 • সৈয়দ শায়েখ আহমদ কবির সোহরাওয়ার্দি
 • হযরত শাহজালাল রহ. 

 শাহজালাল ছোট বেলা থেকে ধর্ম ভিরু ছিলো। তার মামা ছোট বেলায় বুঝতে পারছে সে একদিন অনেক বড় হবে। শাহজালাল ভারতবর্ষে ধর্ম প্রচারের স্বপ্ন দেখার পরে সৈয়দ আহমদ কবির এর কাছে ব্যক্ত করেন। মামা ও মুর্শিদ সৈয়দ আহমদ কবিরকে তা জানান। কবির এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিয়ে শাহজালালকে ভারতবর্ষে যাবার পরামর্শ দেন। যাত্রাকালে কবির শাহ জালালেরর হাতে এক মুঠো মাটি তুলে দিয়ে বললেনঃ যে স্থানে এই মাটির "স্বাদ" "গন্ধ" ও "বর্ণের" মিল এক হবে, সেখানেই ধর্ম প্রচারের জন্য আস্তানা গড়বে। মুর্শিদ সৈয়দ আহমদ কবির (রহ) এর দোয়া লয়ে শাহ জালাল (রহ) ধর্ম প্রচার অভিযানে আরবের মক্কা শরিফ হতে যাত্রা করেন ভারত বর্ষের উদ্দেশ্যে।


 শাহ জালাল মক্কা হতে বিদায় কালে যে কয়েক জন সঙ্গী তার সাথে যাত্রা করেন তাদের মধ্যে প্রধান ছিলেন হাজী ইউসুফ, হাজী খলীল, হাজী দরিয়া এবং আরেকজন সঙ্গী চাশনী পীর ছিলেন মৃত্তিকার তহবিলদার(শাহাজালালকে দেওয়া মাটি পরীক্ষার দায়িত্ব ছিল তার কাছে অর্থৎ বিভিন্ন প্রদেশে যাওয়ার পর ঐ মাটির সঙ্গে ঐ প্রদেশের মাটি পরীক্ষা করে দেখতেন তিনি) । 


হিন্দুস্থানে আসার পূর্ব পর্যন্ত সমরকন্দ থেকে সৈয়দ ওমর, রোম থেকে করিমদাদ, বাগদাদ থেকে নিজাম উদ্দীন, ইরান, জাকারিয়া ও শাহ দাউদ এবং সৈয়দ মুহম্মদ প্রমুখ তার অনুগামী হলেন। তাদের নিয়ে তিনি হিন্দুস্থানে প্রবেশ করলেন। এরপর পাঞ্জাবের মুলতান থেকে আরিফ, গুজরাত থেকে জুনায়েদ, আজমীর শরীফ থেকে মুহম্মদ শরীফ, দাক্ষিণাত্য থেকে সৈয়দ কাসিম, মধ্যপ্রদেশের হেলিম উদ্দীন প্রমুখ তার মুরীদ হয়ে তার সঙ্গে সঙ্গে চললেন। এভাবে দিল্লী পর্যন্ত এসে পৌঁছালেন তখন শিষ্যদের সংখ্যা ২৪০ জন বলে ধারণা পাওয়া যায়। দিল্লিতে আসার পর নিজামুদ্দিন আউলিয়ার জনৈক শিষ্য গুরুর কাছে শাহ জালালের কুৎসা প্রচার করে। সঙ্গে সঙ্গে নিজামুদ্দীন অন্যের কুৎসা রটনাকারী এ শিষ্যকে উপযুক্ত শাস্তিস্বরূপ দরবার থেকে তাড়িয়ে দেন এবং অন্য দুই শিষ্যকে ডেকে তাদের মারফতে শাহ জালালের কাছে সালাম পাঠান। শাহ জালাল সালামের উত্তরে উপটৌকনস্বরূপ ছোট একটি বাক্সে প্রজ্জলিত অঙ্গারের মধ্যে কিছু তুলা ভরে নিজামুদ্দীন আউলিয়ার নিকট পাঠান। নিজামুদ্দিন আউলিয়া হযরত শাহ্ জালালের আধ্যাত্মিক শক্তির পরিচয় পেয়ে তাকে সাদরে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ জানান। বিদায়কালে প্রীতির নিদর্শনস্বরূপ নিজামুদ্দিন আউলিয়া তাকে এক জোড়া সুরমা রঙের কবুতর উপহার দেন। মাজার সংলগ্ন এলাকায় সুরমা রঙের যে কবুতর দেখা যায় তা ঐ কবুতরের বংশধর। যা জালালি কবুতর নামে খ্যাত। 

হযরত শাহজালাল রহ যখন দিল্লিতে ছিলেন তখন সিলেটের অধিপতি ছিলেন গৌর গোবিন্দ, গৌর গোবিন্দ ছিলো নিষ্ঠুর হিন্দু শাসক, তখন সিলেটে কোন মুসলিম তার ধর্ম পালন করতে পারতো না প্রকাশ্যে।সবাইকে বাধ্যতামূলক ভাবে মূর্তি পুজা করতে হতো।বোরহান উদ্দিন নামে একজন মুসলিম বাস করতো সিলেটে সে লুকিয়ে ধর্ম পালন করতো এবং সে ছিল প্রকৃত মুসলিম অর্থাৎ ঈমানদার।তার কোন সন্তান নেই বৃদ্ধি হওয়ার পর ও কোন সন্তান হয় নাই তারপর ও সে আল্লাহ কাছে চাওয়া ছাড়া, কারো কোন চিকিৎসা নেয় নাই কারণ তার ঈমানি শক্তি ছিল অনেক বৃদ্ধ বয়সে তার একটি সন্তান হলো এই খুশিতে সে গোপনে গরু জবাই করে ভিক্ষুকদের দিয়েছে।গরুর মাংসের একটা টুকরো পাখি খাওয়ার জন্য নিয়ে উড়ে গেছিলো তারপর পাখির মুখ থেকে মাংসের টুকরো টা গোবিন্দের মন্দিরের সামনে পড়ছে তখন গোবিন্দ পুরোহিত মাংসের টুকরো টা দেখতে পেয়ে সে গোবিন্দ কে বললো।গোবিন্দ ঘটনা শুনার সঙ্গে সঙ্গে রেগে গেলেন এবং বললেন কার এতো বড় সাহস যে আমার রাজ্যে গরু জবাই করে।গোবিন্দ তার লোকদের খবর নিতে পাঠালেন কে গরু জবাই করছে। গৌবিন্দের লোকজন বোরহান উদ্দিন কে ধরে রাজ দরবারে নিয়ে আসে তখন গোবিন্দ বোরহান উদ্দিন কে গরু জবাহ করার কারণ জিজ্ঞেস করলে বোরহান উদ্দিন উত্তরে তার সন্তান হওয়ার কথা বলেন এবং খুশির কারণে গরু জবাহ করার কথা বলেন।তারপর গৌবিন্দ বোরহান উদ্দিনের সন্তান কে তুলে নিয়ে আসতে বলেন।তার লোক অবুঝ শিশুকে তুলে নিয়ে আসার পর নিষ্ঠুর গৌবিন্দের হুকুমে জবাহ করেন শিশুটিকে তার সৈন্যরা। 


বোরহান উদ্দিন তার সন্তান হত্যার বিচারের জন্য বাংলার তত্কালীন রাজা শামস উদ্দীন ফিরুজ শাহের নিকট গিয়ে এই নিষ্ঠুর হ্ত্যা কাণ্ডের অভিযোগ করলে রাজা তাঁর ভাগিনে সিকান্দর গাজীকে প্রখণ্ড সৈন্য বাহিনীর সঙ্গে শ্রীহট্টের গৌড় রাজ্যে প্রেরণ করেন। শাহী সৈন্য যখন ব্রহ্মপুত্র নদী পার হতে চেষ্টা করে তখনই রাজা গোবিন্দ ভোতিক শক্তির সাহায্যে মুসলিম সৈন্যের উপর অগ্নীবাণ নিক্ষেপ করে সমস্ত চেষ্টাকে বিফল করে ফেলে। গোবিন্দের ঐন্দ্রজালিক শক্তির প্রভাবে সিকান্দর গাজীর প্রতিহ্ত ও বিফল মনোরথের সংবাদ দিল্লীর সম্রাট আলাউদ্দীন খিলজীর নিকট পৌছলে সম্রাট এ সংবাদে মর্মাহত হন।এবং তিনি সিপাহি সালা থেকে সৈন্য পাঠান গোবিন্দ কে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। সিপাহিদের প্রদান হলো সৈয়দ নাসির উদ্দীন । দিল্লিতে বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে দেখা হয় শাহজালাল রহ. তখন তার কাছ থেকে শাহজালাল রহ. তার দুঃখের কথা শুনে শাহ জালাল দিল্লী হতে বুরহান উদ্দীনকে সহ ২৪০ জন সঙ্গীসহচর সিলেটের উদ্দেশ্য রওয়ানা হলেন। শাহ জালাল সাতগাঁও এসে ত্রিবেণীর নিকট দিল্লীর সম্রাট প্রেরিত অগ্রবাহিনী সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীনের সাথে মিলিত হন। সৈয়দ নাসির উদ্দীন শাহ জালাল সম্পর্কে অবগত হয়ে তদীয় শিষ্যত্ব গ্রহণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। পথে পথে শাহ জালালের শিষ্য বর্ধিত হতে লাগল । ত্রিবেণী থেকে বিহার প্রদেশে আসার পর আরো কয়েকজন ধর্মযোদ্ধা অনুষঙ্গী হলেন। যাদের মধ্যে হিসাম উদ্দীন, আবু মোজাফর উল্লেখযোগ্য। এখান থেকে সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীনের আনিত এক হাজার অশ্বারোহী ও তিন হাজার পদাতিক সৈন্যসহ শাহ জালাল নিজ সঙ্গীদের নিয়ে সোনারগাঁ অভিমুখে সিকান্দর গাজীর সাথে মিলিত হওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। শাহ জালাল সোনারগাঁ আসা মাত্রই শাহ সিকান্দর গাজীর সাথে সাক্ষাৎ ঘটিল। সিকান্দর গাজী শাহ জালালকে সসম্মানে গ্রহণ করলেন। শাহ জালাল তার সঙ্গী অনুচর ও সৈন্যসহ শাহ সিকান্দরের শিবিরে সমাগত হয়ে সিকান্দর হতে যুদ্ধ বিষয়ে সব বিষয় অবগত হন। সিকান্দর শাহ জালালের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শিষ্যগ্রহণপূর্বক সিলেট অভিমুখে যাত্রা করলেন। এভাবে শাহ জালালের শিষ্য সংখ্যা বেড়ে ৩৬০ জনে পৌঁছায়। এদিকে গৌড় গৌবিন্দ নিজস্ব চর দ্বারা শাহ জালালের সমাগম সংবাদ পেয়ে; নতুন এ দল যাতে ব্রহ্মপুত্র নদী পার না হতে পারেন, সে জন্য নদীর সমস্ত নৌ-চলাচল বন্ধ করে দেয়। শাহ জালাল রহ. শিষ্যদের নিয়ে বিনা বাধায় জায়নামাজের সাহায্যে ব্রহ্মপুত্র নদী অতিক্রম করেন। 


শাহ জালাল তার সঙ্গীদের নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদী পার হয়ে প্রথমত সেখানে অবস্থান করেন। এখানে গৌড়ের সীমান্ত রক্ষীরা অগ্নিবাণ প্রয়োগ করে তাদেরকে প্রতিহত করতে চায়; কিন্তু মুসলমান সৈন্যের কোন ক্ষতি করতে পারেনি। গোবিন্দ সমস্ত বিষয় অবগত হয়ে উপায়ান্তর না পেয়ে সুরমা নদীতে নৌকা চলাচল নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে। শাহ জালাল পূর্বের মতো জায়নামাজের সাহায্যে বরাক নদী পার হন। সুরমা নদী পারাপারে বাহাদুরপুর হয়ে বর্তমান সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলায় ফতেহপুর নামক স্থানে রাত্রিযাপন করেন। উল্লিখিত তথ্য-সংবলিত প্রাচীন গ্রন্থ তোয়ারিখে জালালীতে উল্লেখ আছেঃ 
চৌকি নামে ছিল যেই পরগণা দিনারপুর ছিলটের হর্দ্দ ছিল সাবেক মসুর সেখানে আসিয়া তিনি পৌছিলা যখন খবর পাইলা রাজা গৌবিন্দ তখন। এপারে হজরত তার লস্কর সহিতে আসিয়া পৌছিলা এক নদীর পারেতে বরাক নামে নদী ছিল যে মসুর যাহার নিকট গ্রাম নাম বাহাদুরপুর। যখন পৌছিলা তিনি নদীর কেনার নৌকা বিনা সে নদীও হইলেন পার। 


সর্ব প্রকার কলাকৌশল অবলম্বন করে রাজা গৌড়গোবিন্দ যখন দেখলেন সকল প্রয়াসই বিফলে হচ্ছে, তখন শেষ চেষ্টা করার লক্ষে যাদুমন্ত্রসহ এক প্রকাণ্ড লৌহধনুক শাহ জালালের কাছে প্রেরণ করে; যার শর্ত ছিল যদি কেহ একা উক্ত ধনুকের জ্যা ছিন্ন করতে পারে তখন গোবিন্দ রাজ্য ছেড়ে চলে যাবে। শাহ জালাল তার দলের লোকদের ডেকে বললেন, যে ব্যক্তির সমস্ত জীবনে কখনও ফজরের নামাজ কাযা হয়নি বা বাদ পড়েনি একমাত্র সেই পারবে গোবিন্দের লৌহ ধনুক "জ্যা" করতে। অতপর মুসলিম সৈন্যদলের ভেতর অনুসন্ধান করে সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীনকে উপযুক্ত পাওয়া গেল এবং তিনিই ধনুক জ্যা করলেন।

গড়দুয়ারস্থিত রাজবাড়ি পরিত্যাগ করে গোবিন্দ পেচাগড়ের গুপ্তগিরি দুর্গে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে তার আর কোন হদিস মেলেনি। শাহ জালাল তিন দিন সিলেটে অবস্থান করার পর, মিনারের টিলায় অবস্থিত রাজবাড়ি প্রথমে দখল নিলেন। শাহজালাল (রহ.) মৃত্যু বরণ করেন ১৩৪৬(বয়স ৭৪-৭৫)(শ্রীহট্র,বাঙ্গালা,বর্তমানে বাংলাদেশ) ।


শাহজালাল রহ. মাজার







 তথ্য সূত্র :  ১।  তাজকেরাতুল আউলিয়া 
                   
                   ২।wikepdia 
                  
                   ৩।শ্রিহাট্রের ইতিবৃত্তান্ত